ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

২১ বছর পর চালু হচ্ছে ‘সুপ্রিয় রেশম কারখানা’

ঠাকুরগাঁওয়ে আজ বৃহস্পতিবার ২১ বছর বন্ধ থাকার পর রেশম কারখানাটি বেসরকারিভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘সুপ্রিয় রেশম কারখানা’। এরই মধ্যে কারখানাটিকে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে খুশি তুতচাষি ও কারখানাটির সঙ্গে জড়িত শ্রমিক-কর্মচারীরা।

১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জায়গা নিয়ে রেশম কারখানাটি স্থাপন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস। পরে সেটি ১৯৮১ সালে রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর লোকসান দেখিয়ে তৎকালীন সরকার সেটি বন্ধ করে দেয়।

রেশম বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য ৮ লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কারখানাটি ভাড়ায় চালুর জন্য চুক্তি সম্পাদন করেছে স্থানীয় সুপ্রিয় গ্রুপ। এখানে শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, থ্রিপিস, পর্দাসহ ১৫ ধরনের কাপড় উৎপাদনের জন্য এরই মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে।

কারখানাটির সঙ্গে ৭৫ জন শ্রমিক-কর্মচারী ও প্রায় ১০ হাজার তুতচাষি জড়িত ছিলেন। সে সময় কর্মরত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের চাকরি দিচ্ছে সুপ্রিয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নতুনদেরও কাজের ব্যবস্থা হয়েছে কারখানাটিতে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কারখানাটি চালুর উদ্যোগে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি ঘটবে উন্নয়ন।

সুপ্রিয় রেশম কারখানা ম্যানেজার মেহেদী হাসান জানান, ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার সুনাম ছিল সারাদেশে। তারা সেই সুনামকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।

সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমান জানান, স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও ব্যবসায় সফলতার লক্ষ্যে কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদী, সবার সহযোগিতায় সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন।

জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, কারখানাটি চালু হলে রেশম বা তুত চাষ করে হাজারো পরিবার লাভবান হবে; সেই সঙ্গে কয়েকশ মানুষের কর্মের ব্যবস্থা হবে। দেশ ও দেশের বাইরে রেশমের তৈরি কাপড়ের বেশ চাহিদা রয়েছে, ঠাকুরগাঁওয়ে উৎপাদিত রেশম কাপড় দিয়ে সেই চাহিদা পূরণ হবে বলে তিনি আশা করেন।

পাঠকের মতামত: